যখন অফিস থেকে আসবে আমাকে ফোন দিয়ে আসবে। আমি তোমার জন্যে একটু নাস্তা তৈরি করবো।
গল্প : #বিচ্ছেদ___#পর্ব (1) | chokherjole.blogspot.com
নিজের বউ পরকীয়া করতেছে। আর আমি দেখতেছি। ভেবেছিলাম বউকে সারপ্রাইজ দিবো।
তাই অফিস থেকে আজ একটু তারা তারি আসলাম। কিন্তু এসে দেখি আমার বউ।
অন্য একটি ছেলের সাথে উল**ঙ্গ অবস্থায় শুয়ে আছে।
আমি অবশ্য ভিডিও করে রাখলাম কারন পরে ইতি আবার অশিক্ষার যাবে তাই।
যাই হোক ওরা এখন রোমান্স করুক আমি বাইরে একটু চা খেয়ে আসি।
আবার ও প্রায় 1 ঘন্টা পর বাসায় আসলাম এসে দেখি বউ আমার সব ঠিক ঠাক করে রেখেছে।
কিছু বুজতে দিলাম না।
ইতি : আমার জানটা আজ এতো তারা তারি আসলো অফিস থেকে কারন টা কী।
হাসিব : না তেমন কিছু না। আজ একটু তারা তারিই ছুটি হলো।
ইতি : তোমাকে বলছি না যখন অফিস থেকে আসবে আমাকে ফোন দিয়ে আসবে। আমি তোমার জন্যে একটু নাস্তা তৈরি করবো।
হাসিব : আচ্ছা বাবা সরি আমার ভুল হয়েছে। এখন কিছু খাইতে দাও।
ইতি : তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো । আমি সব কিছু রেডি করতেছি।
মেয়ে মানুষ কে চেনা বড়ই দায়। একটু আগে অন্য ছেলের সাথে পরকীয়া করলো। এখন আবার পুরাই চেন্স হলো।
ইতি : কি হলো কি ভাবতেছো। তোমাকে বললাম না ফ্রেশ হতে।
হাসিব : ঠিক আছে যাইতেছি।
এই বলেই হাসিব ফ্রেশ হতে যায়। কিন্তু ওয়াশ রুমে গিয়ে দেখে একটি টিশার্ট পরে আছে। কিন্তু এটা তো আমার না।
হাসিব : ইতি এই ইতি এই খানে আসো তো।
ইতি : হয়েছেটা কি শুনি। এমন ভাবে ডাকতেছো কী জানি কী হয়েছে।
হাসিব : এটা কার টিশার্ট । আর এখানে কি ভাবে এলো।
ইতি কিচুক্ষন চুপ থেকে বলতে শুরু করে।
ইতি : আরে চিনতে পারো নাই এটা ছোট ভাইয়ের। ও যখন সামনের বার এসেছিলো হয়তো ভুল করে ছেরে গেছে।
হাসিব : ও ঠিক আছে।
এই ভাবেই দিন যেতে লাগে। হাসিব অনেক ভালোবাসে ইতিকে তাই কিছু বলে না। সব কিছু সজ্য করে।
অফিস শেষে হাসিব সিয়েনজিতে করে বাসায় যাইতেচে এমন সময় ট্রাফিক জ্যামে পরে যায়।
একটু বাইরে তাকাতেই দেখতে পায় যে ইতি আর সেই দিনের ছেলেটি রিশকায় করে আমার বাসার দিকেই যাচ্ছে।
ইতি : এই রহিম কবে আমাকে বিয়ে করবা বলো না প্লিজজ।
রহিম : আরে পাগলি আর কিছু দিন অপেক্ষা করো বিয়ে করে নিয়ে আসবো তোমাকে ।
ইতি : তাই জান।
রহিম :হুম জান আমার ❕
এই সব কিছুই হাসিব শুনতে পায়। সিয়েনজিতে থাকার কারনে ইতি দেখতে পায়না হাসিব কে।
হাসিব একটু আগেই বাসায় পৌছায় গিয়ে দেখে যে ইতি নেই।
প্রায় 30 মিনিট পর ইতি আসলো বাসায়।
হাসিব : কোথায় গেছলা তুমি ।
ইতি : আমি একটু বাইরে গেছলাম আমার বান্ধবীর বাসায়।
হাসিব : একাই যে গেলা আমাকে নিয়ে যাইতে তো পারতে।
ইতি : এতো কথা বলতে পারবো না। একা গিয়েছি তা কি হয়েছে।
হাসিব : তুমি ইদানিং খুব চেন্স হয়েছো।
ইতি : তো কী হয়েছে।
হাসিব : বাদ দাও জান কাছে আসো না গো একটু আদর করি তোমাকে ।
এই বলেই ইতিকে কাছে এনেই যখন ঠোটে ঠোট লাগাতে যাবে তখনি ইতি বলে উঠলো।
ইতি : এই ছারো ত আমাকে সব সময় এই সব ভালো লাগে না আমার বুজছো।
হাসিব : সব সময় মানে। আমি আমার বউকে যখন খুশি আদর করতে পারি।
ইতি : না পারো না বুজছো।
হাসিব : তুমি কি আমার প্রতি বিরক্ত ইতি।
ইতি : কেনো আমার আছার আছারনে বুঝতে পারো না আমি কি চাই।
হাসিব : কি চাও তুমি বলবা একটু দয়া করে।
ইতি : আমি ডিভোর্স চাই ডিভোর্স ।
হাসিব : পাগল হয়েছো তুমি নাকি হ্যা আমার সন্তান তোমার পেটে আর তুমি বলতেছো কি সব।
ইতি : কেনো বাচ্চা নষ্ট করবো। আর সমস্যা হবে না।
এই কথাটি শুনার পর হাসিব আর ঠিক থাকতে পারে না তাই ঠাসসহ ঠাসসস করে থাপ্পড় লাগিয়ে দেয়।
হাসিব : আর যেনো কখনো না শুনি যে তুই ডিভোর্স কথা বলতেছিস।
ইতি : একবার কেনো হাজার বার বলবো আমি ?
হাসিব : ভালো হবে না এটা মনে রাখিস।
ইতি : তোকে ডিভোর্স দিতে হবে না আমি নিজেই দিবো ডিভোর্স।
হাসিব আর কিছু না বলে বাইরে চলে যায়।
ইতি : হ্যালো রহিম তুমি কবে বিয়ে করবা বলো তো আগে আমাকে।
রহিম : আরে এতো পাগল হচ্ছো কেনো।
ইতি : আমার স্বামী সব কিছু জেনে গেছে । তাই ওকে আমি ডিভোর্স দিয়ে তোমাকে বিয়ে করবো।
রহিম : ওকে ঠিক আছে সমস্যা নাই আর 1 মাস পর বিয়ে করবো দুজনে।
ইতি : ঠিক আছে রহিম I love you?
রহিম : i love you 2 ❤
ইতি : আচ্ছা ঠিক আছে ভালো থেকু জান উমাহাহাহহাহাহা।।
হসিব : এই যে খাবার এনেছি বাইরে থেকে খেয়ে নেও।
ইতি : তুমি খাও আমি খাবো না।
হাসিব : আচ্ছা তোমার ইচ্ছে ।
এই বলে ফোনটি রেখে আবার বাইরে যায় হাসিব। কিন্তু কী যেনো মনে করে ইতি হাসিবের ফোনটি চাপতে লাগলো।
তখনি ইতির চোখ পরে রহিম আর ইতির পরকীয়া ভিডিও ।
তার মানে কি হাসিব সব কিছুই জানে। এইগুলা ভাবতে ভাবতে ইতি ঘুমিয়ে পরে।
কিন্তু ..........
পরের দিন ইতি শুনতে পায় যে রহিম নাকি __
গল্প : #বিচ্ছেদ___#পর্ব (1)
রোমান্টিক লেখক
#চোখের_জলে
#প্রেম ও #বিয়ের_গল্পের_কথা
#chokherjole